জন সেবা মিথ ও বাস্তবতা

truth-or-lie-166ab0

(llbangla.org)

সাম্প্রতিক আলোচনায়, আমরা ইতিহাসের আলোকে বিজ্ঞান ও কৈফিয়তত্ত্বের বিষয়টি তোলে ধরতে চাই। স্ট্যালিন প্রথম এই রকম একটি শব্দ তাঁর আলোচায় ব্যবহার করেছিলেন।  এখানে একটি বহুল আলোচিত বিষয়ে আমাদের আপত্তি তোলে ধরতে চাই। তিনি সেদিন লিখেছিলেন-

“ ইসরাইলকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে সৌভিয়েত ইউনিয়নের কোন বিশেষ উদ্দশ্য ছিলো না। তা ছিল নেহায়েত ভু-রাজনৈতিক কারণ। অবশ্যই সেটা ভূল ছিলো। কিন্তু আড়লে বিষয়টি ছিলো একটি ২০/২০ খেলার মত”।

সৌভিয়েত ইউনিয়ন ইসরাইলকে ‘নাকবা’ এর সময়ে সাহায্য করেছিলো, কিন্তু তারা কি ইউরূপের অভিবাসীদের কোন প্রকার সাহায্য করেছিলেন ? না । তবে, নাজিরা যা করেছিলেন তা ইয়াহুদী ট্রটস্কীবাদি লিনিন ব্রেনার যথা যত ভাবেই সংরক্ষন করেছিলেন। নাজি ও ইসরাইলীদের মাঝে এবং সৌভিয়েত ইউনিউনের সাথে ইউরূপীয়দের তেমন কোন চুক্তি ছিলো না । অফিসিয়ালী সৌভিয়েত ইসরাইলকে সমর্থন করে। ইহা আজো একটি বড় মাপের অপরাধ। ফলে বলশেভিক বিপ্লবের সুচনায় যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিলো তা প্রনিধান যোগ্য, এখন ও ইসরাইলীরা কোন জাতিহিসাবে বিবেচিত নয়।

একটি মজার বিষয় হলো, লীডিং লাইটের মতে স্ট্যালিনের মৃত্যুর পূর্বে সৌভিয়েতরা সাম্রাজ্যবাদে পরিণত হয়। আমার বক্তব্য হলো, নিপিড়িত জাতি গুলোকে জাতিয়তাবাদের ভিত্তিতে  অন্তর্জাতিকতায় পরিণত করার চেস্টাকে তো আস্বীকার করা যায় না”।

লিডিং লাইট কম্যান্ডার পিএফ এর বক্তব্যঃ

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই।

আপনার বক্তব্যটি সুন্দর  হলেও তা আমাদেরকে সত্যি অবাক করেছে। স্ট্যালিনের সময় কালের জন্য এই প্রশ্নাবলী হলেও  তা মুলত সমাজতন্ত্র ও স্ট্যালিনবাদের বিরুদ্বেই গেছে। আমাদের কাছে বেমানান মনে হয়েছে যে স্ট্যালিন ও নাজিদের সম্পর্কে আপনি আমাদের বক্তব্যকে সমান ভাবে বিবেচনা করছেন। তাদেরকে একাকার করে ফেলেছেন। “ আর যাই হোক স্ট্যালিন এবং নাজিরা কোন ভাবেই সমান নয়!”  আপনি সত্যি বলেছেন স্ট্যালিনের বিদেশ নীতি কোন ভাবেই ফ্যাসিবাদি জার্মানদের মত ছিলোনা । এছাড়া ও অন্যান্যদের মত স্ট্যালিনের নীতি সাম্রাজ্যবাদী ছিলো না । সত্য কথা হলো যে, সাম্রাজ্যবাদী নাজিদের মত ভাবনা চিন্তা তাঁর কখনই ছিলো না। আমাদের ভালো লাগছে এটা দেখে যে আপনি ও স্ত্যালিন সমাজতন্ত্রকে সমর্থন করেন। আমারা ও আমাদের নেতা কর্মীরা এই সকল বিষয়ে একটি মান বজায় রেখে চলি। আর তা অবশ্যই হিটলার বা তাদের চেয়ে উন্নতর । আপনার মন্তব্যে যে বিষয়টি প্রকাশিত হয় তা হলো- ইতিহাসের পটভূমিতে কৈফিয়ততত্বের পথ ধরে গুরুবাদ মানুষকে যুক্তি হীনতার দিকে নিয়ে যায়।

ইহুদি প্রশ্নে সৌভিয়েত দৃষ্টি ভঙ্গী খুবই উল্লেখযোগ্য। আপনার ভাষ্য মতে, ইহুদীরা কোন জাতি নয়। এখন পর্যন্ত কার্যত এই জাতিকে স্বিকার করে নেয়া হয়েছে, যা করা হয়েছে তা ও ভৌগলিক ভাবেই করা হয়েছে। ইহুদি জাতিকে আইনত স্বিকার করে নেয়া হয়নি। সৌভিয়েত ইউনিয়নের ভেতরে ও একটি ইহুদি  সায়েত্বশাসিত এলাকা ছিলো। ইহুদিদেরকে সেখানে স্থানাতর করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। এবং সেখানে বেশ কিছু ইহুদি পরিবার  চলে ও এসেছিলেন। আপনার ভাষ্য ও আমাদের মতামত মুলত একই সৌভিয়েত সমর্থনের পেছনে প্রধানত ভৌগলিক রাজনীতিই মুল বিষয়।

সুসম রাজনৈতিক প্রতিযোগীতা ২০/২০তত্ত্ব কোন ভুলের জন্য ক্ষমার কারন হতে পারেনা। আর দয়া করে অ্যামেরিকার কথা একদম বলবেন না। উদের সৃষ্ট দাস প্রথা ক্ষমার যোগ্য নয় উরাও কোন কোন সময় সকল পাপ ক্ষমার কারন হতে পারে না । ভেবে দেখুন “ হ্যাঁ, ক্রুসচেভও আপরাধ করেছিলেন, দেং জিয়াও পিং ও অপরাধ করেছেন, গর্ভাচেভ ও অপরাধ করেছেন, আমরা কি এদের অপরাধ প্রতিযোগীতা-২০/২০ র নামে ক্ষমা করে দিতে পারি? এটা তাদের রাজনীতির কৌশল হতে পারে ? তারা একের পর এক ভুল করেই গেছেন, এক ই ভুল বার বার করেছেন। নানা ভাবে করেছেন। এক সময়ে তারা তাদের ভুলের পক্ষে যুক্তি ও প্রদর্শন করেছেন। তাদের পদক্ষেপ গুলোকে আমরা ভুলই বলছি। তাদের ভোল গুলো ও সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতা থেকেই উদ্ভুত। তাদের কাজ সাম্রাজ্যবাদী সমাজতান্ত্রিক পরিস্থিতি থেকে সৃজিত হয়েছে। আর এর পথ তদরেই পুঁজিবাদের রাস্তা খোলাসা হয়েছে। তারা যা যা করেছে তার ভিত্তি ও ছিলো পুঁজিবাদী তথ্য প্রবাহ। সেই সময়েই বিপ্লবী কেন্দ্রে ডান পন্থার ভুল গুলো ঘটতে থাকে। তখন সংস্কারবাদি ভুল পদক্ষেপ ঘটতে থাকে। সেই ভুল গুলো, “বাম পন্থার আদলে হলেও ডান পন্থার মর্ম বহন করে”। সে ভুল গুলো বিশ্লেষন করলে প্রতিক্রিয়াশীল মানসিকথার পরিচয় বহন করে। আমরা ও বিপ্লবী উত্তরাধিকারের পথে না চলে সেই ভুল করেছি। যে সকল ভ্রান্তি ঘটেছে আমরা তার দায়িত্ব নিতে রাজি নই। সকল মার্ক্সবাদি আন্দোলন সংগ্রাম নিজেদের পরিচয়ের জন্য তৎপর থাকে। তারা তাদের লাইনকে স্পস্ট ভাবে দাগ কেটে নেয়। ট্রটস্কি কোন দিন ই স্ট্যালিনের পথ সঠিক ছিল এমন কোন বক্তব্য হাজির করেন নাই। চরম পন্থী মার্ক্সবাদি- লেনিন বাদি চক্র কোন কালেই মাওবাদি রাজনীতিকে সমর্থন দেন নাই। অন্য দিকে মাওবাদিরাও কোন দিন দেং জিয়াও পিং এর রাজনীতিকে সমর্থন করেন না । মাওবাদিরা মনে করেন দেং এর রাজনিতি সমাজতান্ত্রিক পন্থার নয়। ইহা পুঁজিবাদী ও সংশোধনবাদি ধারা । আমরা যদি ইসরাইল সমর্থনকে ভুল বলি তবে – তা কি ধরনের ভুল ।

 আমরা মতান্দ্বতা নয়, বিজ্ঞানের বিকাশ চাই। যারা ভাবে ইতিহাস তো বিজ্ঞান নয়, এটা এক ধরনের কল্পকাহিনী। তারা ইতিহাসের বিনাশ চায়, ইতিহাসকে অবজ্ঞা করে তারা কোন ভাবে বিজ্ঞান ভিত্তিক নেতা বা নেতৃত্ব নয়। সেই নেতারা মনে করেন ইতিহাস মানেই হলো মহান ব্যাক্তিদের জীবন কাহিনী – যা কার্ল মার্ক্স বহু আগেই অস্বীকার করে তাঁর তিব্র সমালোচনা করে গেছেন। এই ধরনের চিন্তা ভাবনা গুরুবাদ থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। ইশ্বর হয়ত মারা গেছেন। এর কিছু কিছু ব্যাক্তি বেঁচে আছেন। সেই ব্যাক্তিদের যারা ঘিরে আছেন তারা গুরুবাদকে বিকশিত ও প্রচার করে থাকেন।

কৈফিয়ত তত্ত্বের আড়ালে বিপ্লবী ইতিহাসে ও কিছু লোক গুরুবাদের জন্ম দিয়েছেন। এই সকল বিষয় গুরুত্ব পূর্ন কি না তা তারা দেখেন নাই। অনেক ক্ষেত্রে তারা এর উপর ভরসা ও করেছেন । ফলে মাও ও স্ট্যালিনকে আমরা দেখেছি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সংশোধন বাদের দিকে ঝুকে পড়েছেন। মানব জাতির জন্য সামগ্রীক স্বাধীনতার খাতিরে আমাদের জীবনকে ও বিলিয়ে দিতে রাজি আছি, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্বের পর রাশিয়ায় জাতিয়তাবাদি চেতনার বিকাশ ঘটেছিলো কিনা বা সৌভিয়েতরা কি করেছিলো আমাদের দেখার দরকার নেই। একটি আদর্শিক বাক্য “ জনতার সেবা করুন” আমাদের রক্তের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মাও ১৯৭২ সালে বিচানায় থাকে অবস্থায় এই কথাটি বার বার বলেছেন।  আমাদের প্রথম ও শেষ ভালোবাসা হলো মানুষ ও পৃথিবীকে ভালো ভাষা। তবে তা বিশেষ কোন একক ব্যক্তি নয়। এমন কি মাও বা স্ট্যালিন ও নয়। আমরা তো সেই জনতার কথা বলছি – যে জনতার সম্পর্কে মাও বলেছিলেন “ জনতাই হলো সত্যিকার নায়ক”। এবং “জনতাই হলেন ইতিহাসের সত্যিকার চালিকা শক্তি”। আমরা মহান নেতা, মেধাবি এবং বীরদের  ভালোবাসি।  লিডিং লাইট সেইরূপ মানুষ তৈরীর কাজ করছে। তবে, যখনই কোন ক্ষেত্রে দ্বান্দ্বিকতার সৃষ্টি হয়, তখন আমরা জনতার পছন্দকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকি। পৃথিবীর কল্যানের কথা ভাবি। সৎ উদ্দেশের কথা ভাবি। সত্যিকার সহ যুদ্বা তাঁরাই যারা সৎ ও ত্যাগী।

লিডিং লাইটের চিন্তা ধারা সৌভিয়েত ইউনিয়নের মত নয়, বা এমন কি স্ট্যালিনের মারা যাবার আগ মুহুর্তের মত ও নয়। লিডিং লাইট চিন্তা ধারা কোন সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের ধারক ও নয়। লিডিং লাইট সাধারণ ভাবেই চার পাশের লোকদেরকে সংঘবদ্ব করছে। আমাদের চিন্তাভাবনা হলো দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্বের পর পুঁজিবাদ থেকে সাম্রাজ্যবাদ থেকে পরিবর্তিত হয়ে সৌভিয়েত ইয়নিয়নের যাত্রা কাল। আমাদের বক্তব্য হলো চীন ১৯৭০ সালের পর থেকে পুঁজিবাদের দিকে যাত্রা করেছে। এই ক্ষেত্রে আমরা আবার বলছি ব্যক্তিবাদ সেখানে বাসা বাধে। মাও সর্কালের সেরা বিপ্লবী একথা বলা ও শুনতে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু তিনি কিছু বিশেষ ভুল ও করেছিলেন। তাঁর হাত ধরেই সংশধনবাদ এবং পুঁজিবাদ চিনে ফিরে এসেছিলো। আমরা সত্যিকার বিজ্ঞানের কথা বলছি, কোন ভুল বিজ্ঞান নয়। সর্ব ক্ষেত্রেই আমরা ভালোকে গ্রহন করতে চাই। কোন মন্দ জিনিস আমরা নিতে চাই না । মানুষ রক্ত মাংশে গড়া। কোন মানুষই একেবারে পরিপুর্ন নয়। মানুষ ভুল করে। আমাদের সর্বোচ্চ পরিচালক কোন মানুষ নন। ইহা হলো সত্য। আর সেই সত্যকে কেবল বিজ্ঞানের মাধ্যমেই জানা সম্ভব।

আপনার নিপিড়িত জাতি সম্পর্কিত শিশুসুলভ মন্তব্য আমার অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করেছে। কেমন করে বলতে পারেন স্ট্যালিনের নিতি কেবল ভৌগলিক কারনেই প্রণীত হয়েছিল, তাঁর এই সহায়তাটা ছিলো স্বল্প কালের জন্য। তাঁর ইউরূপে অভিযান এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সহায়তায় আন্তর্জাতিকতাবাদকে প্রয়োগ করা হয়নি। এই সামগ্রীক বিষয়াদিকে আপনি কিভাবে দেখছেন ? যদি এর উত্তর আপনি না দিতে পারেন বা ব্যাখ্যা করতে না পারেন তবে আপনাকে ভাবতেই ভবে যে আপনি কথা থেকে এসেছেন। আপনার সেই সকল লোকদের মতই যারা সত্যকে সহ্য করতে পারেন না । আমাদের পথ হয়ত প্রায় একই রকমঃ আমরা সমর্থন করি আলোকিত সাম্যবাদের, সামগ্রীক স্বাধীনতার এবং সকল প্রকার নিপিড়নের অবসান ঘটাতে চাই। আমাদের প্রথম আনুগত্য হলো সাধারণ মানুষ ও পৃথিবীর প্রতি। কোন বিশেষ জাতির প্রতি নয়। তবে কোন জাত যদি তাদের স্বাধীনতার জন্য এগিয়ে আসে তবে আমরা তাদেরকে সমর্থন জানাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। যদি  বিশেষ কোন কৌশল অবলম্বন করতে হয় তবে তাতে ও আমাদের আপত্তি নেই। মোট কথা হলো আমরা জাতিয়তার বিষয়টি একেবারে বর্জন করছি না । তবে সেখানে এক বিশাল পার্থক্য হলো- একজন কমিউনিস্ট যখন একই সাথে জাতিয়তাবাদের বিনাশ চায় সাম্যবাদ কায়েমের মাধ্যমে তখন আমরা তাতে সমর্থন যোগাতে কুণ্ঠিত হই না। মাও ও স্ট্যালিনের সময়ে এইরূপ ঘটানা ঘটেনি। তাদের সময় কালে অ্যামেরিকায় জাতিয়তাবাদি আন্দোলন চলছিলো। তারা উভয়ই বহুজাতিক বিপ্লবী আন্দোলন চালিয়েছিলেন। তাদের সময় কালেও দেখা গেছে যে, ডজন খানেক জাতি তখন নিপিড়িত হচ্ছিল। বলশেভিক বিপ্লব দ্রুত সম্প্রসারিত হওয়ার ও একটি বিশেষ কারণ ছিলো যে, রাশিয়ান সাম্রাজ্যকে একটি “ জাতির জেল খানা হিসাবে দেখা হত”। চীনের বিপ্লবের ক্ষেত্রে ও সেই একেই ঘটনা দেখা গেছে। উভয় বিপ্লবের ক্ষেত্রেই এমন একটি জাতীয় রূপান্তরের চেষ্টা ছিলো যেখানে জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে স্থানীয় বা আঞ্চলিকতাবাদ ব্যবহার করা হয়েছিলো। একই সময়ে মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার রুপায়নে ভুমিকা পালন করা হয়েছিলো।  দুর্ভাগ্যবশত, পরিকল্পনা মাপিক সকল কিছু করা যায়নি। উদাহরন হিসাবে বলা যায় যে, সেই সময়ে ও স্ট্যালিন এবং মীর সাইদ সুলতান গালিভ পরস্পরের সাথে দ্বন্দ্ব জড়িয়ে পড়েছিলেন। তখন সুলতান গালিভের কাছে মনে হয়েছিলো স্ট্যালিন যে পন্থা অনুসরন করছেন তা মুলত একটি নিপিড়িত জাতির উপর রাশিয়ান উগ্রজাতিয়তাবাদের প্রভাব বলয় তৈরী করা ছাড়া আর কিছুই নয়। হয়ত সেই সময়ে স্ট্যালিন সঠিক পথেই ছিলেন। সুলতান গালিভের বিরুদ্বে সেই সময়ে জাতিয়তাবাদি উগ্রতার অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। তবে এটা তো সত্য যে, সুলতানের দাবী অনুসারে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্বের সময় স্ট্যালিন রাশিয়ান জাতিয়তাবাদের উত্থান ঘটিয়েই নাজিদের বিরুদ্বে যুদ্বে নেমেছিলেন। তাঁর রেশ যুদ্বের পর ও থেমে যায়নি। চিনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ক্ষেত্রে ও যে অভিযোগটি উঠে তা হলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিকে বিনাশ করা অভিযোগ। আর সেই কারনেই কোন কোন সময় মাওবাদি রাজনিতিকে কেহ কেহ ভুল করে তাঁকে হান সুভিনিস্ট হিসাবে দেখে থাকেন। আসলে তা ছিলো সর্ববৈ ভুল ধারনা।

সর্বপরি, মাওবাদিদের দৃস্টিভঙ্গী হান ঐতিহ্যের প্রতি সর্বদাই নেতিবাচক ছিলো, এমন কি সাধারণ ধারনার চেয়ে বেশী। মাও খুবই সতর্কতার সাথে চিনে পদক্ষেপ গ্রহন করলেও তিনি ক্ষুদ্র জাতি স্বত্বার নিপিড়নে অভিযোগ থেকে মুক্ত নন। মাও কখনও কখনও কৌতুক করে নিজেকে কনফুসিয়াস নেতাদের সাথে তুলনা করতেন। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময়ে কনফুসিয়াসের কবর লাল ফৌজ খনন করেছিলেন। এটা দেখাতে যে যারা বিশ্বাস করেন তিনি এখন ও জীবিত তা যে সঠিক নয় – তা প্রমান করতে। ভারতে এখন এই রূপ বিশ্বাস ও বিতর্ক চালু আছে। ভারতে জাতীয় আন্দোলনকে বিপ্লবী আন্দোলনে রপান্ত্রিত করার প্রয়াস ছিলো। তা সিপি আই (মাওবাদি) এখনও ধারন করেন। অন্যান্য মাওবাদিরা যেমন “তৃতীয় কেন্দ্রীয় কমিটি” এই রকম ও অভিযোগ করেন যে, তারা দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের বিরুদ্বে ব্রাম্মন্যবাদি সোভিনিস্টিক ধারনা পোষন করেন। তারা মনে করেন ব্রাহাম্নন্যবাদি গুষ্টি অবশ্যই একটি নিপিড়ন কারী চক্র। তারা দলিত সহ অন্যান্য সম্প্রাদের উপর প্রাধান্য বজায় রাখতে চায়। তারা এমন ও মনে করেন যে, সাদা মানুষেরা যে ভাবে উত্তর অ্যামেরিকায় এবং ফিলিস্তিনে ইহুদিরা প্রধান্য বিস্তার করেছে তেমনি ভারতে ব্রাম্ন্যবাদিরাও সেই রূপ করতে চায়। তারা নেপালের মাওবাদি ও ভরতের মাওবাদিদেরকে এই বলে দুষারুপ করেন যে, উরা ব্রাহাম্ন্যবাদি চক্রের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। আমরা ও মনে করি উত্তর অ্যামেরিকার মত সমস্যা ভারতেও রয়েছে। এখানেও নিজেকে জাহির করার রাজনীতি বিদ্যমান আছে। পরিচিতির রাজনীতি চালু আছে।

লিডিং লাইট সকল সময়েই একটি ঐক্যবদ্ব জোটের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদের বিপরিতে সংগ্রাম করে থাকে। আমরা জনতার লড়াইকে সমর্থন করি। এমন কি কিছু কিছু ভূল ধরনা পোষন করলেও আমরা তাদের সাথে থাকি। তা প্রায়স  তৃতীয় বিশ্বে দেশ ব্যাপী গন আন্দোলনে রূপ নেয়। তা কখন ও কখনও ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তার আন্দোলনে রূপ নেয়। প্রথম বিশ্বে ও নানা ক্ষুদ্র জাতি সাম্প্রদায়ের মানুষের উন্নউনের রাজনীতিতে যুক্ত হয়। তবে তা আমাদের কাছে কখনও ব্যানগার্ডের বিকল্প নয়। এটা কেবল মাত্র পুঁজিবাদের দুনিয়া জোড়ে সম্প্রসারণ প্রতিরোধের জন্যই আমরা করে থাকি। ক্ষুদ্র আন্দোলন সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে থামাতে পারবেনা। আজ দুনিয়ার নানা স্থানে নানা ভাবে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দল ও আন্দোলন গড়ে উঠেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই কখনও সাম্রাজ্যবাদের বিপক্ষে আবার কখনও সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে কাজ করছেন। উদাহরন হিসাবে আমরা নিকারাগুয়ার স্যান্ডানিস্টা -১৯৮০ এবং কিছু ইসলামিক দলের কথা বলতে পারি। তারা নানা চেহেরা নিয়ে জনতার সামনে এসেছে। আমরা এ প্রসঙ্গে বলিভিয়ারিজম, আফ্রিকানিজম এর কথা ও উল্লেখ করতে পারি। তারা সাম্রাজ্যবাদের বিপক্ষে কথা বললেও সাম্রাজবাদের সার্থেই ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাই লিডিং লাইট বিশ্ব ব্যাপী গন লড়াইয়ে কথা বলে। এক মানুষ ! এক পৃথীবী ! এক যুদ্ব! # শিহাব